বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে বিশ্বব্যাপী শিখন-শিক্ষনকার্য ক্রম পরিচালনার মাধ্যে মানব সমাজকে পরিবর্তিত বিশ্ব ব্যবস্থা মানিয়ে চলার যোগ্য করে রাখার প্রচেষ্ঠা নিরন্তর। জ্ঞান জগতের পরিসর ক্রমবর্ধনে মূল ভূমিকা পালন করে চলেছে মানুষের জ্ঞানের পিপাসা বা জ্ঞানের সাধনা। এক প্রজন্মের জ্ঞান পরবর্তী প্রজন্মে সব্যলিত হয়ে সভ্যতার অগ্রযাত্রাকে সচল করে রেথেছে। শিক্ষা মানব সভ্যতার অগ্রযাথার পথ নির্মাণ করে দেয়। আর এ প্রক্রিয়াটি আদিকাল থেকে যার মাধ্যমে সচল রয়েছে তিনি হলেন শিক্ষাগুরু বা শিক্ষক। শ্রেণী কক্ষে সফলভাবে পঠন-পাঠন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একজন শিক্ষকের নিজ বিষয়ের যতটা স্বচ্ছ জ্ঞান ও দক্ষতা থাকা জরুরী প্রতিদিনের পাঠ পরিকল্পনায় নিজেকে পুনরায় শানিত করে উপস্থাপন করা ততটাই জরুরী। শিক্ষার্থীদের ঔৎসুক্য সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের চিন্তা ও কল্পনা শক্তির বিকাশ ঘটিয়ে দেয়া একজন শিক্ষককের মূল কাজ। একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীর জন্য পরশ পাথর স্বরূপ। তাকে সার্বক্ষণিক সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে যে তার কোন কথা, কাজ বা আচরনের দ্বারা কোন শিক্ষার্থীর জীবন বিনষ্ট হয়ে না যায়। কারণ একজন শিক্ষার্থীর উত্তম ভবিষ্যৎকে ধবংস করার অধিকার কোন শিক্ষকের নাই। একজন শিক্ষকের যোগ্য ভূমিকা তাকে সমাজে যুগের পর যুগ বাচিঁয়ে রাখে।